অনাবৃষ্টিতে সদ্য রোপণ করা আমন চারা জমি ফেটে শুকিয়ে চৌচির
পীরগঞ্জ-(রংপুর)প্রতিনিধিঃ-
আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। সাধারণত এই দুই মাস আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়। কিন্তু বর্তমান শ্রাবন শেষ হয়ে আজ ভাদ্র মাসের ৭দিন যাচ্ছে নেই কোনো বৃষ্টি, এই বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকরা এই মৌসুমে রোপা আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করে থাকেন।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলায় টানা ২০-২৫ দিনের অধিক বৃষ্টি না হওয়ায় পুকুর বা খালের পানি দিয়ে কোনোরকম চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। আর যেসব কৃষক বিএমডিএর আওতাধীন গভীর নলকূপ থেকে পানি নিয়ে আবাদ করছেন, তাদের এক দিন পরপরই জমিতে পানির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ফলে সময় মতো পানি সব কৃষক পাচ্ছেন না।
সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সঙ্কটের কারণে আমন চাষ হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। ফলে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড় আলমপুর ইউনিয়নের গাজীখাঁ (সোনার পাড়া) গ্রামের শামসুল আলম জানান, পুরো আষাঢ় – শ্রাবন মাস শেষ হয়ে গেল, কোনো বৃষ্টি নেই। পানি সেচ দিয়ে যেটুকু আবাদ করেছিলাম তাও শুকিয়ে গেছে। প্রায় টানা ২০-২৫ দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় আমার ধানের জমি শুকিয়ে জমি ফেঁটে চৌচির হয়ে গেছে,
স্যালো মিশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়ে তা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাকি জমি সব পড়েই আছে, কী হবে জানি না।
এক দিন পরপর জমিতে পানির প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানি ছাড়া ফসল বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে জানান এই কৃষক।
পীরগঞ্জ উপজেলার কৃষিবীদ মোঃ সাদেকুর জামান সরকার বলেন, এবার পীরগঞ্জে ২৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমন অনাবৃষ্টি চলতে থাকলে আবাদ ব্যাহত হবে।
উপজেলার কৃষি অফিসার জানান বিশেষ করে, ৭ নং বড় আলমপুর , ১নং চৈত্রকোল, ১৪ চতরা এই তিনটি ইউনিয়নে পানির সংকটময় বেশি,
এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, পীরগঞ্জে টানা ২০-২৫ দিন বৃষ্টি নেই। ফলে কৃষকরা সময়মতো আবাদ শুরু করতে পারেননি। আমরা বিএমডিএর সাথে কথা বলেছি যাতে তারা ঠিকমতো যাতে পানি সরবরাহ করে। অনাবৃষ্টির কারণে এখন পর্যন্ত ফসলের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি । আগামী কয়েক দিনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করা যায় অতিদ্রুত পানির সমস্যা কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply