আতিদমারীতে জোর পূর্বক জমি দখল,নগ্ন করে মারপিট গুরুত্বর,আহত ২
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের নীচ পাড়া এলাকায় ভূপতি ভূষণ রায়ের জমি জোর পূর্বক দখল নেয়ার চেষ্টা ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার সুশীল চন্দ্র,মানিক,মনোরঞ্জন রাধাকান্ত ও তার দলবলের বিরুদ্ধে।
রবিবার (২০ আগষ্ট) দুপুরে ভাদাই নীচ পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে আহত চিত্তরঞ্জন ও কাত্তিক চন্দ্রের কাকা বিভূতি ভূষণরায় বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ভূপতি ভূষণ ও কিশোরী দুই ভাই। জমা-জমির জটিলতা থাকার কারণে একই এলাকার মনোরঞ্জনের ছেলে সুশীল চন্দ্র ও রাধা কান্তের ছেলে মানিক চন্দ্রের সাথে সালিশ বৈঠকে জমি মবদলা করেন। সেই অনুযায়ী ভূপতি ভূষণ ও তার ভাতিজা চিত্তরঞ্জন ও কার্ত্তিক চন্দ্র মবদলা জমিতে দোকান ও চালা তৈরী করে ভাড়া দেন। এক পর্যায়ে বিবাদী গন পুনরায় ঐ জমি দখলে নেওয়ার জন্য বার বার পায়তারা চালায়। পরে ভূপতি ভূষণ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নম্বর- অন্য ৩১০/২১ ইং।
এদিকে বিবাদী সুশীল চন্দ্র ও মানিক চন্দ্র আদালতে মামলা চলাকালিন অবস্থায় আইনের তোয়াক্কা না করে তার গুন্ডা বাহিনী নিয়ে রবিবার দুপুরে ভূপতির দোকান ভাংচুর ও গাছ পালা নষ্ট করার চেষ্টা করলে চিত্তরঞ্জন দেখতে পাই সে ও তার ভাই কার্তিক বাধা দিলে বিবাদী গন চিত্তরঞ্জন কে ছুরি দিয়ে মাথায় কোপ দেয়,ও তার ভাই কাত্তিক চন্দ কে নগ্ন করে প্রকাশ্যে মারপিট করেন। ও ভূপতির ভাতিজি বৌ বিথী রাণী কে টানা হেচড়া করে তার শ্লীলতা হানি ঘটায়। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে চিত্তরঞ্জন, কাত্তিক ও বিথী রাণীকে আদিতমারী হাসপাতে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন,চিত্তরঞ্জনের মাথার আঘাত গুরুত্বর।উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যেতে হতে পারে।
এঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছ৷।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন,১ সুশীল চন্দ্র (৩৮) পিতা মনোরঞ্জন রায়, ২, মানিক চন্দ্র (৪২) পিতা,রাধা কান্ত, ৩, রাধাকান্ত (৬০) ৪, মনোরঞ্জন রায় (৫৮) উভয় পিতা, সত্যনাথ বর্ম্মন। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী, এই জমির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিত। গ্রাম্য শালিস ও আদালতের আইন অমান্য করে প্রায়ই সময় হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। শুধু তা-ই নয় জোর করে ভূপতি ও তার শরীকদের দোকান ঘর ও চালা ভাংচুর করে দু,জন কে গুরত্বর আহত করেন, এবং বিথি রাণীর শ্লীলতাহানি ঘটায়, স্বর্নের চেন,ও ১ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা লুট করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বিভূতি-ভূষণ বলেন,
ওই জমি মবদলা করে আমাদের দিয়েছে। আমরা দোকান ঘর, চালা গাছ পালা লাগিয়ে ভোক দখল করে আসছি। হঠাৎ করেই প্রতিবেশী সুশীল চন্দ্র ও মানিক চন্দ্র ও তার বাবা মনোরঞ্জন রায় , রাধাকান্ত আমাদের জমিতে থাকা দোকান চালা ঘর, ভাংচুর করে জমি দখলে নিতে চায়। তাদের বাঁধা দিলে তারা
আমার ভাতিজা,কে চুরি ঘাতে করে। পরে আমার অপর ভাতিজা কে নগ্ন করে লাটি পেটা করে। আমি লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট এর এর সুষ্ঠ বিচারের দাবি করছি।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোক্তারুল ইসলামের সঙ্গে মুটো ফোনে আলোচনা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply