প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দঃ জাওরানী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রেশন ফি আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। তবে অতিরিক্ত ফি নেয়ার কথা স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক।
এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নে অন্তর্গত দঃ জাওরানী আঃ লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত ফি আদায় করে আসছেন। এনিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদ করলেও প্রধান শিক্ষক কারো কথায় কর্নপাত করেনি। আশেপাশে আর কোন স্কুল না থাকায় বাধ্য হয়ে ঐ স্কুলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে হয়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছামতো ফি নির্ধারণ করেন প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন।
নাম প্রকাশ করার শর্তে অনেক এলাকাবাসী বলেন, দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন ধূর্ত ও চতুর প্রকৃতির লোক হওয়ায় তার পছন্দমত ব্যক্তিদের দিয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে থাকেন। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় তার দূর্নীতির মাত্রা বেড়ে গেলেও সন্তানের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়না। ইদানীং তার দূর্নীতির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এলাকার সচেতন মহল ও অভিভাবকেরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর গত ১২ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ, চলতি বছর ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ১১০ টাকা এবং ৯ম শ্রেণীর ১৭১ টাকা রেজিষ্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করে সরকার। অথচ তিনি সরকারের নিয়মকে তোয়াক্কা করে ভাউচার বিহীনভাবে ৮ম শ্রেণীর ৮৬ জন শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে জনপ্রতি ৪০০ টাকা এবং ৯ম শ্রেনীর ৯৬ জন শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে আদায় করেন। আশ্চর্যজনক ঘটনা হচ্ছে অতিরিক্ত ফি আদায়ের টাকা তিনি বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বইয়ে লিপিবদ্ধ করেননি। এছাড়াও তিনি মাসিক বেতনসহ অন্যান্য ফি গুলো কয়েকগুণ আকারে আদায় করে থাকেন। এদিকে শিক্ষার্থীরা সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা না দিলে বিভিন্ন পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল থেকে বেরকরে দেওয়ার নজীর ও রয়েছে খোদ প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনসহ তার আর্শীবাদ পুষ্ট দুই একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে অভিভাবকেরা ওই প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতির সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারদাবী করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন, ভুক্তশিক্ষার্থী-সচেতন মহল ও অভিভাবক বৃন্দ।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে ঐ বিদ্যালয়ের সভাপতি দুলাল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটিতে পরাজিত হয়ে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয় তিনি কিছুই জানেননা বলে জানান।
ঘটনার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, রেজিষ্ট্রেশন বাবদ ব্যাংক, শিক্ষাবোর্ড যাতায়াত করাসহ স্কুলের বিভিন্ন আনুষঙ্গিক কাজ করতে অনেক টাকা প্রয়োজন হয়। ফলে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে হাতিবান্ধা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
buy anastrozole order anastrozole 1 mg without prescription purchase anastrozole pill