হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বোরো চারা রোপনে দিনমজুর সংকট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে চলতি মৌসুমে পুরাদমে চারা রোপনের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু দিনমজুর না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে কৃষকরা। নিম্নবিত্ত শ্রেণির কৃষকরা পরিবার পরিজন নিয়ে চাষাবাদের কাজ করলেও উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কৃষকরা দিনমজুর ছাড়া কাজ করতে পারছে না। সে কারণে অনেকের চারার রোপনে বিলম্ব হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বোরো চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ২৬ হাজার ৮০০ হেক্টর। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ জমিতে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের কৃষক বাবু মিয়া জানান, দিন মজুর সংকটের কারণে তিনি এখন পর্যন্ত ৩বিঘা জমিতে চারা রোপন করতে পারেনি। বোর চাষাবাদে হালচাষ, সার, ডিজেল, বিদ্যুৎ ও দিনমজুরের দাম হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় চাষাবাদ করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন ৫০০ হতে ৬০০ টাকায়ও দিন মজুর পাওয়া যাচ্ছে না। দিনমজুররা এখন চুক্তিভিত্তিক কাজ করছে। তাতে করে এক বিঘা জমিতে চারা রোপনের জন্য দিতে হচ্ছে ৪ হতে ৫ হাজার টাকা। এতে করে দেখা গেছে, একবিঘা জমিতে চারা রোপন থেকে শুরু করে কাটামাড়াই পর্যন্ত খরচ ১১ হতে ১২ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া ধানের ফলন ভাল হলে ধান হবে ১৮ হতে ২০ মন। যার বাজার দর ২১ হতে ২২ হাজার টাকা।
দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের দিনমজুর আলামিন ইসলাম জানান, প্রচন্ড ঠান্ডা তার উপর প্রতিটি জিনিসের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। দিন হাজিরা ভিত্তিক কাজ করে সংসার চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এখন অনেকে কৃষি কাজ করতে চায় না। সে কারণে দিন হাজিরা বেশি নিতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা করা যাচ্ছে। যান্ত্রিক পদ্ধতি চাষাবাদ শুরু করা হলেও প্রশিক্ষণের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। কৃষি কাজ ছেড়ে এখন অনেকে অন্য পেশায় জড়িয়ে গেছে। সে কারণে দিনমজুরের একটু চাহিদা দেখা দিয়েছে।
order anastrozole 1mg sale buy generic anastrozole 1mg buy arimidex 1 mg generic